মহাজাগতিক ইতিহাসে আমাদের এপিটাফের গল্প

by - 12:29:00 PM

কোন সন্ধ্যে সন্ধ্যে রাতে রাস্তারা বুঝি অদ্ভুত প্রনয়ে খুন হয়! খুন হয় কতশত খেয়ালের অগোচরে আটকে পড়া দীর্ঘ নি:শ্বাসেরা! ইশ! আমাদের খেয়ালগুলো যদি একটা আকাশ রকমের নীলচে না হতো!
 কোন ইট পাথরের মত কষ্ট প্রতিসরন করে বাঁকিয়ে নীলচে না করে দিতো আমাদের শরতের মত অনুভূতিগুলোকে! 

তিস্তানের শব্দের অভাব পড়লে, প্রলুব্ধ রাতের নৈশভোজ মহাজাগতিক ইতিহাস হয়ে থাকে। রাতের তারারাও নিশ্চুপ করে কাঁদতে জানে সবাইকে এক অদ্ভুত সৌন্দর্য উপহার দিয়ে। অথচ সেইসব তারাগুলো আসলে বহুবছর আগেকার ইতিহাস রকমের পুরনো হয়ে মরে গেছে। ইতিহাস কি আর এক দুইদিনের সস্তা সভ্যতায় তৈরি হয়? ইতিহাস তো এক স্বরচিত এপিটাফের হাইফেন। দুপাশের চার অংকের সংখ্যাটার মাঝে গোটা আস্ত একটা পৃথিবীর গল্প! সেই পৃথিবীর গল্পগুলো এমন করে সুখ সুখ অনুভূতি কিভাবে দিতে পারে?

আমাদের জ্যোৎস্নাবেলায় আমরা কত অদ্ভুতরকম উপায়েই না মরে যাই! মৃয়মান আলোতে যখন আমাদের কবিতা গিলে ফেলার কথা তখন আমরা হাজিরা খাতা খুলে উপস্থিতির হিসেব নিকেশ খুঁজে টুজে মরি। অথচ আমাদের সব চুলচেরা অনুপস্থিতির কারনগুলোকে আমাদের আত্মানুসন্ধান খুব সুন্দর করে মিটিয়ে দিতে পারতো!


মহাজাগতিক ইতিহাসে আমাদের এপিটাফের গল্প।

You May Also Like

0 comments