প্রিয় মধুবন
মাথা অনেক বেশি শূন্য লাগছে আজকাল। যেন একখানা খোলামেলা ফাঁকা ঘর। মাঝে মাঝে শুধু একটি কি দুটি শালিক অথবা চড়ুইয়ের আনাগোনা। এরকম থাকা ভাল। আমি জানি। কালকেও আমার কাছে একখানা বেনামি চিঠি এসেছে। তাতে লেখা " বিপ্লবের পথ কেবলই গার্হস্থের দিকে বেঁকে যায়। বনের সন্ন্যাসী ফিরে আসে ঘরে।" নাম সই নেই, তবু আমি হাতের লেখা চিনি।
কাল বিকেলের দিকে আলো কমে এলে আমি আতস কাঁচ নামিয়ে রাখলাম। মাথা ধরে গিয়েছিল সারাদিন আতস কাঁচের ব্যাবহারে। তাই চোখ ঢেকে বসেছিলাম অনেকক্ষন। ভুল হয়েছিল। সে তো ঠিক চোখ ঢাকা নয়। টের পেলাম ডুটি হাতের আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে গড়িয়ে নামছে চোখের জল। বিপ্লবের পথ কেবলই গার্হস্থের দিকে বেঁকে যায়। বনের সন্ন্যাসী ফিরে আসে ঘরে। এ আমারই কথা।
নাহ, প্রিয় মধুবন হওয়ার জন্য আর একবার পিছু হাঁটার কোনো ইচ্ছেই নেই আমার। এখন আমি বেশ আছি। ফাঁকা খোলামেলা শান্ত একটা ঘরের মত শূন্য একটা মাথা। মাঝে মাঝে এক আধটা শালিক চড়ুইয়ের আনাগোনা। এক আধটা ভাবনা, এক আধখানা স্মৃতি। তার চেয়ে বেশি কি দরকার? এখন আমার আলো বাতাস ভালো লাগে, ছুটির দিন ভালো লাগে। অবসর আমার বড় প্রিয়। আমার প্রিয় সেলাই কলের আওয়াজ, শিশুছেলের কান্না, আমার প্রিয় আলমারিতে সাজিয়ে রাখা পুতুল, ফুলদানির ফুল। আর বুকের মধ্যে সেই টিকটিকির ডাক- যেও না, যেও না।
তবুও মাঝে মাঝে যখন ভীড়ের রাস্তায় চলি, তখন হঠাৎ বড় দিশেহারা লাগে। কিংবা মাঝরাতে হঠাৎ কখনও ঘুম ভেঙ্গে যায় তখন লক্ষ করে দেখি পাথর হয়ে জমে আছে আমার অনেক আক্ষেপ। আয়নায় নিজের মুখ দেখে কখনও চমকে উঠি। মনে কয়েকটা কথা বৃষ্টির ফোঁটার মত কোনও অলীক শূন্য থেকে এসে পড়ে। তুমি যে এসেছিলে তা কখনোই কেউ জানল না। কখনও কখনও সন্ধ্যেবেলায় কিংবা রাত্রে আমি ঘরের আলো নিভিয়ে দিয়ে চুপচাপ বসে থাকি। একটা দুটো কথা অন্ধকারে মশা ওড়ার শব্দের মত অন্ধকারে গুন গুন করে যায়। আমি নিস্তব্ধতার কাছে কান পেতে থাকি। আস্তে আস্তে আবার সব ঠিক হয়ে যায়।
যদি কখনও হঠাৎ মনে হয় যে এরকম শান্ত জীবন হওয়ার কথা ছিল না আমার, আরও দূরতর, ভিন্ন অনিশ্চয় এক জীবন আমার হতে পারতো,তখন সঙ্গে সঙ্গে আমি হাতের কাছে যা পাই - হয়তো ওশুধের শিশি,ফাউন্টেন পেন কিংবা হাতের আংটির পাথরের দিকে চেয়ে থেকে আস্তে আস্তে মনকে একটা বিন্দুতে নিয়ে আসি। অতীত এবং ভবিষ্যত থেকে ফিরিয়ে নিই আমার মুখ। আস্তে আস্তে বলি, আমার এরকমই ভালো। তখন মাথা অনেক শূন্য লাগে। অনেক বেশি শূন্য।
কাল বিকেলের দিকে আলো কমে এলে আমি আতস কাঁচ নামিয়ে রাখলাম। মাথা ধরে গিয়েছিল সারাদিন আতস কাঁচের ব্যাবহারে। তাই চোখ ঢেকে বসেছিলাম অনেকক্ষন। ভুল হয়েছিল। সে তো ঠিক চোখ ঢাকা নয়। টের পেলাম ডুটি হাতের আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে গড়িয়ে নামছে চোখের জল। বিপ্লবের পথ কেবলই গার্হস্থের দিকে বেঁকে যায়। বনের সন্ন্যাসী ফিরে আসে ঘরে। এ আমারই কথা।
নাহ, প্রিয় মধুবন হওয়ার জন্য আর একবার পিছু হাঁটার কোনো ইচ্ছেই নেই আমার। এখন আমি বেশ আছি। ফাঁকা খোলামেলা শান্ত একটা ঘরের মত শূন্য একটা মাথা। মাঝে মাঝে এক আধটা শালিক চড়ুইয়ের আনাগোনা। এক আধটা ভাবনা, এক আধখানা স্মৃতি। তার চেয়ে বেশি কি দরকার? এখন আমার আলো বাতাস ভালো লাগে, ছুটির দিন ভালো লাগে। অবসর আমার বড় প্রিয়। আমার প্রিয় সেলাই কলের আওয়াজ, শিশুছেলের কান্না, আমার প্রিয় আলমারিতে সাজিয়ে রাখা পুতুল, ফুলদানির ফুল। আর বুকের মধ্যে সেই টিকটিকির ডাক- যেও না, যেও না।
তবুও মাঝে মাঝে যখন ভীড়ের রাস্তায় চলি, তখন হঠাৎ বড় দিশেহারা লাগে। কিংবা মাঝরাতে হঠাৎ কখনও ঘুম ভেঙ্গে যায় তখন লক্ষ করে দেখি পাথর হয়ে জমে আছে আমার অনেক আক্ষেপ। আয়নায় নিজের মুখ দেখে কখনও চমকে উঠি। মনে কয়েকটা কথা বৃষ্টির ফোঁটার মত কোনও অলীক শূন্য থেকে এসে পড়ে। তুমি যে এসেছিলে তা কখনোই কেউ জানল না। কখনও কখনও সন্ধ্যেবেলায় কিংবা রাত্রে আমি ঘরের আলো নিভিয়ে দিয়ে চুপচাপ বসে থাকি। একটা দুটো কথা অন্ধকারে মশা ওড়ার শব্দের মত অন্ধকারে গুন গুন করে যায়। আমি নিস্তব্ধতার কাছে কান পেতে থাকি। আস্তে আস্তে আবার সব ঠিক হয়ে যায়।
যদি কখনও হঠাৎ মনে হয় যে এরকম শান্ত জীবন হওয়ার কথা ছিল না আমার, আরও দূরতর, ভিন্ন অনিশ্চয় এক জীবন আমার হতে পারতো,তখন সঙ্গে সঙ্গে আমি হাতের কাছে যা পাই - হয়তো ওশুধের শিশি,ফাউন্টেন পেন কিংবা হাতের আংটির পাথরের দিকে চেয়ে থেকে আস্তে আস্তে মনকে একটা বিন্দুতে নিয়ে আসি। অতীত এবং ভবিষ্যত থেকে ফিরিয়ে নিই আমার মুখ। আস্তে আস্তে বলি, আমার এরকমই ভালো। তখন মাথা অনেক শূন্য লাগে। অনেক বেশি শূন্য।
0 comments