আমাদের ইচ্ছেরা
আমার বিশ্বাস, মানুষের জীবনে ইচ্ছাপুরনের ঘটনা এক-আধবার ঘটে। যেন তখন সমস্ত পৃথিবীকে উপেক্ষা করে ঈশ্বর অলক্ষ্যে তার কাছেই এসে দাঁড়ান। তখন মানুষের মনে যে পার্থনা থাকে তা পুরন করে দিয়ে চলে যান। সেই শুভক্ষনটাকে মানুষ অবশ্য চিনতে পারেনা। সে হয়ত তখন ভাবছে, ইস, কাল যে ছাতাটা অফিসে ফেলে এলাম তা কি আর ফিরে পাওয়া যাবে?
পাওয়া যায় এবং শেষ পর্যন্ত কেবল ছাতাটাই সে পায়।
ঈশ্বর আর কিছুই দিতে পারেন না, দেওয়ার অসীম ক্ষমতা থাকলেও।
আমি একটা মেয়েকে জানি, একবার চাইবাসায় নিরালা দুপুরে ঘুম থেকে উঠে একটা ঘুঘুর করুন ডাক শুনে মনে হয়েছিল, ইস, এখন যদি হেমন্তের সেই গানটা হত। ভাবতে ভাবতেই সে আনমনে ট্রানজিস্টার ছাড়তেই, আশ্চর্য্য, হেমন্তের সেই গানটাই বেজে উঠলো। মেয়েটা এতই অবাক যে, দীর্ঘ্যকাল ব্যাপারটা ভুলতে পারেনি সে।
আমি ঘটনাটা শুনে একটা দীর্ঘ্যশ্বাস ফেলেছিলাম। সে কি হারিয়েছিল তা সে জানত না।
ঠিক দুপুরে একটা খাদের ধারে বিপজ্জনক ভাবে দাঁড়িয়ে আমি দেখলাম, দুপুরের ট্রেনটা ছেড়ে চলে গেল। বিদায়ের রুমাল উড়ল না। কেউ বলল না দেখা হবে। তারপর আর কিছুই রইলো না। মেঘ-বৃষ্টি-রোদ আর শীত ছাড়া। অন্যমনস্ক ভাবী আমি ফিরে আসি। ফিরে যাচ্ছে শেষ ভ্রমনকারী। আমি দেখি জনশূন্য হয়ে যাচ্ছে আমার শহর। ঢাকা পড়ে যাচ্ছে কুয়াশায়।
আমি কতদূর বিষন্ন ও হতাশ হয়েছি তা ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে বুকে মাঝে মাঝে একটা পেরেক ঠোকার যন্ত্রনা হচ্ছে। আমার চারিদিকের পৃথিবীটা ছাইবর্ণ। আমার শহরে বৃষ্টি আসে, ভিজে যাই। একচাপ সাদা অবয়বহীন কুয়াশা গড়িয়ে নেমে আসছে। শরীরের ভেতরকার প্রতিরোধ কমে যাচ্ছে। টের পাই সর্দি আর ভিটামিনের লড়াইতে ভিটামিনের জোর মার খাচ্ছে সর্দির হাতে।
আপাদমস্তক কুয়াশায় ডুবে গিয়ে হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ি। চারিদিকে বৃষ্টির ফোঁটারা হেঁটে চলেছে। সেই শব্দে একটু উন্মুখ হয়ে উঠি। জোর বৃষ্টিতে যদি রাস্তায় ধ্বস নেমে রেলগারিটা আটকে যায়। বুকের ভেতরটায় দপ করে আলো জ্বলে ওঠে, সঙ্গে সঙ্গে ভিটামিনেরা দ্বিগুন উৎসাহে আক্রমন করে সর্দির ভাইরাসকে। সর্দি পিছু হঠে যায়।
পরমুহুর্তেই ভাবি কী লাভ! কি লাভ? ভাবতে ভাবতেই বুকের ভেতরকার আগুনটা নিভে যায়। ভিটামিনেরা মাথা নিচু করে সরে আসে। সর্দির ভাইরাস লুঠেরার মতো শরীর দখল করতে থাকে।
আমি ভিজতে থাকি...
style="display:block"
data-ad-client="ca-pub-2221917604703020"
data-ad-slot="9224099274"
data-ad-format="auto">
পাওয়া যায় এবং শেষ পর্যন্ত কেবল ছাতাটাই সে পায়।
ঈশ্বর আর কিছুই দিতে পারেন না, দেওয়ার অসীম ক্ষমতা থাকলেও।
আমি একটা মেয়েকে জানি, একবার চাইবাসায় নিরালা দুপুরে ঘুম থেকে উঠে একটা ঘুঘুর করুন ডাক শুনে মনে হয়েছিল, ইস, এখন যদি হেমন্তের সেই গানটা হত। ভাবতে ভাবতেই সে আনমনে ট্রানজিস্টার ছাড়তেই, আশ্চর্য্য, হেমন্তের সেই গানটাই বেজে উঠলো। মেয়েটা এতই অবাক যে, দীর্ঘ্যকাল ব্যাপারটা ভুলতে পারেনি সে।
আমি ঘটনাটা শুনে একটা দীর্ঘ্যশ্বাস ফেলেছিলাম। সে কি হারিয়েছিল তা সে জানত না।
ঠিক দুপুরে একটা খাদের ধারে বিপজ্জনক ভাবে দাঁড়িয়ে আমি দেখলাম, দুপুরের ট্রেনটা ছেড়ে চলে গেল। বিদায়ের রুমাল উড়ল না। কেউ বলল না দেখা হবে। তারপর আর কিছুই রইলো না। মেঘ-বৃষ্টি-রোদ আর শীত ছাড়া। অন্যমনস্ক ভাবী আমি ফিরে আসি। ফিরে যাচ্ছে শেষ ভ্রমনকারী। আমি দেখি জনশূন্য হয়ে যাচ্ছে আমার শহর। ঢাকা পড়ে যাচ্ছে কুয়াশায়।
আমি কতদূর বিষন্ন ও হতাশ হয়েছি তা ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে বুকে মাঝে মাঝে একটা পেরেক ঠোকার যন্ত্রনা হচ্ছে। আমার চারিদিকের পৃথিবীটা ছাইবর্ণ। আমার শহরে বৃষ্টি আসে, ভিজে যাই। একচাপ সাদা অবয়বহীন কুয়াশা গড়িয়ে নেমে আসছে। শরীরের ভেতরকার প্রতিরোধ কমে যাচ্ছে। টের পাই সর্দি আর ভিটামিনের লড়াইতে ভিটামিনের জোর মার খাচ্ছে সর্দির হাতে।
আপাদমস্তক কুয়াশায় ডুবে গিয়ে হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ি। চারিদিকে বৃষ্টির ফোঁটারা হেঁটে চলেছে। সেই শব্দে একটু উন্মুখ হয়ে উঠি। জোর বৃষ্টিতে যদি রাস্তায় ধ্বস নেমে রেলগারিটা আটকে যায়। বুকের ভেতরটায় দপ করে আলো জ্বলে ওঠে, সঙ্গে সঙ্গে ভিটামিনেরা দ্বিগুন উৎসাহে আক্রমন করে সর্দির ভাইরাসকে। সর্দি পিছু হঠে যায়।
পরমুহুর্তেই ভাবি কী লাভ! কি লাভ? ভাবতে ভাবতেই বুকের ভেতরকার আগুনটা নিভে যায়। ভিটামিনেরা মাথা নিচু করে সরে আসে। সর্দির ভাইরাস লুঠেরার মতো শরীর দখল করতে থাকে।
আমি ভিজতে থাকি...
style="display:block"
data-ad-client="ca-pub-2221917604703020"
data-ad-slot="9224099274"
data-ad-format="auto">
0 comments