অরণ্যে যারা হেঁটে গেছে

by - 1:40:00 AM


এইতো সেদিন তুমি ছুঁয়েছো হৃদয় ছুঁয়েছিলে বুকের অতল, তারপর কেটে গেছে হাজার বছর জমেছে কানায় কানায় বিষাদের জল।একটি আশ্চর্য্য এপিটাফের জন্মপূর্বে




বহুদিন আগে ফেলে যাওয়া এপিটাফ জুড়ে
নিস্তেজ মাতম হবে জেনেও
প্রচন্ড ইচ্ছে হয় ক্রমশ ধ্বংস করে ফেলি
নিজের ভেতরকার বোধ এবং অবোধ,
অতঃপর কোন এক চন্দ্রিমা রাতে হাঁটতে থাকব
খুঁজে পেতে অসমান বধ্যভূমি;
অগভীর মৃত্তিকার অবয়বে
ভরাট যৌবন জুড়ে শুকনো ফুলের সমাহার
বন্ধু তোমাকে বড্ড ভালোবেসেছিলাম।

উড়োজাহাজের ভগ্নাংশে 

উড়োজাহাজের ভগ্নাংশে আমি উড়তে দেখি
রঙ্গীন ঘুড়ি, আতশ বাজির শব্দ
শোকাতুর কৃষ্ণকলি; থেমে থেমে দূর পাহাড়ে ধূসর বিকেল ঘনালে
পুড়ে যাওয়া মাংসল হাতের যৌবনে নেচে উঠি,
ছুঁয়ে দিই আলতো মেহগিনি কপাট;
খুলে যাওয়া দরজায় দাঁড়ায় নর্তকি,
উড়ে যাওয়া রঙ্গীন ঘুড়ি
আমি ভগ্নাংশে উড়তে দেখি পড়শির সাদা শাড়ি;
কালো কাজল রেখায় থোকা থোকা বসত বাড়ি।

ঋতুহীনতায় লেখা কবিতা

এখন জর্জরিত ক্ষরা,
প্রবল কই এখনওতো তোমার কোনো রোদ এলোনা
মেঘে মেঘে অবিরাম গলনের সুর,
শরৎ এলেই ভাবি অবিরাম সেই মুখ
হাসছে অনবরত থেমে থেমে, বাঁকানো ঠোঁট
নধর শরীর, অপূর্ব ফসলের ঘ্রাণ;
অথচ হেমন্ত হতে না হতেই ভুলে যাচ্ছি বারবার
হাতের উপর রাখা হাত, কয়েকটি লকলকে আঙুল
কালচে লাল কারুকার্য।

এইভাবে ভেবে ভেবে অনেক রাতের পরে ঘুম
আহা, আমার কতদিনের ঘুম, তার নবান্ন স্বপ্ন
আয়না থেকে যারা কখনও নামেনা
যাদের অবয়ব গড়ে উঠেই মিলিয়ে যায়
প্রবল তুমি কি জানো
তারাও এইসব উল্লাস ছাড়া আর কিছুই জানে না।

অতঃপর অনেক প্রলম্বিত শীত এবং সল্পায়ু কিছু বসন্ত
প্রানের মাঝে ছড়ানো তোমার কিছু সবুজ
কতদিন যে এইখানে আর কোন ঋতু আসে না।



     style="display:block"
     data-ad-client="ca-pub-2221917604703020"
     data-ad-slot="3297108884"
     data-ad-format="auto">



You May Also Like

0 comments