• Home
  • About
  • Contact
    • Category
    • Category
    • Category
  • Shop
  • Advertise

Banggle.Info

facebook google twitter tumblr instagram linkedin
আমার পড়ার টেবিলে এক মুঠো ফাল্গুন মাস ছিলো কোথায় যেন চলে গেছে ঘরের মধ্যে, দুপুরের পরে, একজন জীবনানন্দ হাঁটাহাঁটি করতেন তিনিও এখন ব্যস্ত অন্য কাজে আলমারির শেষ তাকে কিছু স্বপ্ন এনে রেখেছিলাম ক'দিন ধরে খুঁজে পাচ্ছি না এলোমেলো হয়ে যাচ্ছি... এলোমেলোকেমন আছো তুমি আমার লেখার ঘর, কেমন আছ তুমি পুকুর, খোলা মাঠ, ফিরবই।

পরবাসে ভালো নেই। আমি ভালো নেই। তোদের ছাড়া যে ভালো থাকা যায় না। তোদের ছাড়া কিভাবে ভালো থাকতে হয় একটু শিখিয়ে দিবি!

আমার লেখার ঘর আজ ধুলোয় ভর্তি। স্বপ্নেরা যে যার নিজের মত হেঁটে যাচ্ছে ট্র্যাকে। সবাই ফিরে যাচ্ছে নিজের মত করে, শুধু আমারই আর ফেরা হয় না। আমার যে আজও ফিরে যেতে ইচ্ছে করে তালদিঘীটির কাছে; ওর জলের রঙ কেমন আমার জানা নেই; মাছেরা কি আর আগের মত ঘুরে বেড়ায়?
ঝাপসা কুয়াষায় ট্রাফিক লাইনের ওইপারে আজও কি তুই খুঁজে বেড়াস ডি-অ্যাক্টিভেটেড ভালোবাসা? তোর বৃষ্টি’রা কি আজও পথ হারিয়ে রং-রুটে হেঁটে বেড়ায়?

বকুল, তুই বল, ত্রিকোনামিতির কস থিটা বাই ট্যান থিটা শিখে কে কবে ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছে! স্কুলের মাঠে তুই যে দীর্ঘ্যশ্বাস ফেলে এসেছিলি, আজ সেখানে থোকায় থোকায় জোনাকি পোকা ঘুরে বেড়ায় মাঝরাতে; মাঝে মাঝে পথ ভুল করে দু-একটা জোনাকি চলে আসে আমার খোলা জানালায়।
সব কথা বলতে নেই; সবকথা বুঝতেও নেই; “ভালোবাসি” এইটুকুন একটা শব্দ; একবার জেনে গেলে আর বলার থাকে না কিছুই। বয়স কম হল না সময়ের। নিভু নিভু টাইমলাইন ঘিরে অ্যাক্টিভেটেড বিষাদ, চৈত্রের বিকেলের রোদ মুখে ঝলসানি মারে; সাদা মোজা, হাঁটুর উপর থমকে আছে সাদা স্কার্ট; তোর আঠারো বছর বয়সটা ওখানেই লেগে আছে। আমার মানিয়ে নেওয়া অবসরে বেমানান তুই লিখেছিলি “তুই পাগল করতে পারিস এখনও।” আমার সময় এখনও ওখানেই থমকে আছে।

জানিস বকুল, একটা আকাশ লিখতে পারিনি বলে মেঘেরা সব ছেড়ে চলে গেছে; কিছু ভালোবাসার দামে কেনা ছিল স্বপ্ন আমার, অথবা স্বপ্নের দামে ভালোবাসা আমার জানা নেই; শুধু শুয়োপোকা থেকে প্রজাপতি আর রাজহাঁসের শৈশবই কেবল জানে কতটা সত্যি ছিল রূপকথা। সোনার জলে মোড়ানো রূপালি আয়নায় হারানো মনের ছায়ায় চোখ পড়তেই মনে পড়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় চুপকথা, মানুষ মাত্রেই ভুল।

জানিস বকুল, পাখির শিসের বাঁকে বাঁকে যারা জীবনটাকে মিশিয়ে দেয় তাদের কোনো ঘর থাকেনা; তাদের ঠিকানায় কোনোদিন কেউই চিঠিও পাঠায় না। আমার ঘরটা আজোও মাঝরাতে একা একা কেঁদে উঠে, আমি জানি না আমার ঘরের কান্নার কারন। সন্ধ্যে হলে আমি আজও হাঁটতে থাকি; সে কি আমার ঘরে ফেরার চেষ্টা?
প্রতি রাতে টের পাই কারোর নির্লিপ্ততায় ক্ষয়ে যাচ্ছে কিছু, মোমবাতি জ্বেলে বসে থাকি, বুঝতে পারি পাশে কেউ নেই; শুধু আমি আর ছায়া আর...সেই কান্নাটা।

জানিস বকুল, একদিন দৌড়তে দৌড়তে হঠাৎ খুব করে বুঝতে পারি বড় হয়ে গেছি; হঠাৎ করে বড় হয়ে গেলাম যখন বাড়ির বড়রা ঘুমে অথবা গল্পে মশগুল; হঠাৎ করে খুঁজে পাওয়া রংধনুটা হঠাৎ করেই যেন হারিয়ে গেল, ফিরে গেল বৃষ্টিরা কাউকে কিছুই না বলে। আজ খুব ইচ্ছে করে সেই বোকা ছেলেটাকে ফিরে পেতে, সেই বোকা ছেলেটাকে নিয়ে লিখতে; একটা বোকা ছেলের নুতন করে বেঁচে ওঠার গল্প অথবা স্বপ্ন ভঙ্গের গল্প।

আমি চোখ বুজে ভাবতে থাকি একটা মাঠের কথা, একদল দেবদারুর গাছের কথা; সেই গাছের ছায়ার ভাঁজে ভাঁজে আজও তুই লেগে আছিস; এক আনমনা সিঁদুর রঙের রোদ্দুর ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে তোকে; রং-পেনসিল নিয়ে এঁকে যাচ্ছে তোকে।
আমার খুব হিংসে লাগে, বড় ইচ্ছে ছিল ওই মুখ আঁকব, অপরূপ ভ্রুজোড়া আঁকব; ওই চোখ... এই জনমে আর পারা গেল না। তাই শেয়ালের মত পিপাসা আর তৃষ্ণা নিয়ে তাকিয়ে থাকি ওই চোখের দিকে। জানিস বকুল, যদি জন্মান্তরবাদ কথাটা সত্যি হয় তবে পরজন্মে আবার রংতুলি নিয়ে বসব। এক বিকেলে তোর হাতে ঢেলে দেব আমার অবসন্ন ফুসফুস; তোর নখে, আঙ্গুলে কপাল ছাড়িয়ে ছড়িয়ে মাখিয়ে দেব আমার বিকেল।
Share
Tweet
Pin
Share
No comments
তোমার আমার এই জীবন বয়ে নিয়ে বেড়ানোই যদি আসল কথা হয় তবে চলো ভুল করি..... তবে চলো নষ্ট হয়ে যাই.......অনেক দিন পর আজ এই শহরে বৃষ্টি নামল। আমার মন শহরে রোজই তো বৃষ্টি হয়! এই দুই বৃষ্টির মাঝে পার্থক্যটা অনেক।

ভোর রাতে বৃষ্টির শব্দে ঘুম ভেঙেছিল। অন্যদিন হলে ঘুম ভাঙলে আর ঘুম আসত না। আজ এই বৃষ্টির শব্দ আমাকে আরও গভীর ঘুমে নিয়ে যাচ্ছে।

চারিদিকে যখন সকালের আলো ফুটে উঠেছে তখনও বৃষ্টি ঝরেই চলেছে।আজ বুঝি বৃষ্টি থামবার কোন লক্ষনই নেই।

অনেক দিন বাদে যখন বৃষ্টি নামে তখন মন যে কত কি করতে চায়।

সবার আগে অবশ্যই প্রিয় কারও সান্যিধ্য পেতে চাইব।সেই প্রিয় মানুষটার সাথে খুব গল্প হবে। নইলে তার হাত দুটি ধরে বৃষ্টির শব্দ শুনব।

আরও অনেক কিছু.....

আগে যখন বৃষ্টি হত তখন আমি খাতা কলম সামনে নিয়ে কবিতা লিখতে বসে যেতাম। এখন আর কেন জানি মনে কবিতা আসে না।

মনটা মনে হয় কাটখোট্টা হয়ে গেছে।কাটখোট্টা মন নিয়ে কি আর কবিতা লেখা যায়?

আমার একটা কথা খুব জানতে ইচ্ছে করে, কবিদের মন কি তার কবিতার মতই সুন্দর?

অনেক দিন পরে এই শহরটা বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে। আমিও শহরটার মত বৃষ্টিতে ভিজে আমার মনের যত ময়লা ধুয়ে মুছে সাফ করেতে চাই।

মন কি আসলেই বৃষ্টিতে ধুয়ে পরিষ্কার হয়?

বৃষ্টি হলে খুব ছুয়ে দেখতে চাই মন। তাই বৃষ্টি হলেই হাত বাড়িয়ে ছুয়ে দেই....

খুব চেষ্টা করছি বৃষ্টি নিয়ে একটা কবিতা লিখতে কিন্তু পারছি না.....

তবু ছুয়ে দেখি বৃষ্টি

মন ভেজায় না শরীর

দেখেনি কেউ

না তুমিও.....
Share
Tweet
Pin
Share
No comments
তারপর আরো, কত চন্দ্রাহত রাত ফিরে গেছে, দিকশূন্য নাবিকের মত ভেসে গেছি তরঙ্গাভিযানে, অবিন্যাস্ত জলধারায় অনেক অক্ষমতার ভারী বোঝা কাঁধে বয়ে, অনেক অসমাপ্ত বালিয়ারি পায়ে দলে এসে দাঁড়িয়েছি, তোমারই এঁকে দেয়া সীমান্ত রেখায় অনাবৃত বসন্তের প্রান্তে।কল্পনায় ছুঁয়ে যায়,হাতছানি দিয়ে যায়,
আমাকে শূন্যতায় ভাসায়, তবুও ভুলে যাওয়া,
বারে বারে ফিরে পাওয়া, পেয়েও আবার হারিয়ে যাওয়া;
একটা স্বপ্নের মাঝামাঝি, আমি যে তারে খুঁজি,
কল্পনায় শুধু চোখ বুজি।


আজ অনেকদিন পর লিখতে বসলাম, কি নিয়ে লিখি ভাবতে ভাবতে তোর কথাই মনে পড়ল, অথচ আমি চেয়েছিলাম আমার শৈশবের নদীর কথা, আমার ময়ুরাক্ষী নদীর কথা। এক একটা দিন কাটে নিঃসঙ্গ হাওয়া হয়ে জনশূন্য পথে একলা একেলা। সিগারেট ছাই হয়, বিষাদ উড়ে উড়ে বিবাগী মেঘের মত দুরদেশে ভেসে যায়। আমার বাড়ির চিলেকোঠায় বসে থাকে এক নিঃসঙ্গ চিল, আমি তাকে বলে দিই আমার হাওয়া হয়ে যাওয়ার খবর। বুকের উপর জড় হয় কঠিন সব অসুখ, এক পালতোলা নৌকোয় তাদের পাঠিয়ে দিই নির্বাসনে, অব্যক্ত কথাগুলো হাতড়ে ফেরে ফেরার ঠিকানা।

আজ সারাদিন  ঘরে আটকা পড়ে আছি। আটকা পড়ে আছি - বলছি এইজন্যে যে খুব 
একটা দরকার না থাকলে এই বৃষ্টিতে বোকারাই বাড়ি থেকে বেরোয়। এখনো ঝরে যাচ্ছে অবিরাম। রাত একটু বেশি হলে দৌড়ে আসি আধাঘন্টা ময়লা নদীটার পাশ দিয়ে। গুগল ম্যাপে খুঁজে দেখি সেই নদী ধরে চার-পাঁচ ঘন্টা দৌড়ে গেলে নদীর সাথে সাগরে মেলার জায়গাটায় পৌঁছুনো যাবে। 
দৌড়ে এসে শাওয়ার নিয়ে শুয়ে পড়ি। রোজকার রুটিন। 
ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকি। অনেকটা সময় পেরিয়ে এলাম এইভাবে ছাদের দিকে তাকিয়ে।ছেলেবেলায় খাটের নিচে ঢুকে শুয়ে গল্পের বই পড়তাম, তিন গোয়েন্দা, সুনীল 
অথবা সমরেশ। ছাদটা অনেক কাছাকাছি ছিলো। 
এখন যে ছাদের দিকে তাকিয়ে আছে সেটা বড্ড দূরে। 
অনেকদিন কোন ভালো লেখাও লিখতে পারি না। কয়েকটা লেখা পড়ে আছে গুগলডকে, বের হবে না কোনদিনই মনে হয়। সৃষ্টিশীল চিন্তা করার অংশটুকু সম্পূর্ণ অচল হবার পথে। রাত বারোটায় বাড়ি ফিরি। কেটে যায় দিন, কেটে যায় পথ। নিজে থেমে গেলেও দিনগুলো যাবে। যেন ছুটে যায় ট্রেন, হুইসেল দিয়ে। আমি থেমে থাকলেও ট্রেনের কিছু যায় আসে না। ট্রেনের সাথে তাল রেখে আমাকেও দৌড়ুতে হয়। 
রোজ এক গান শুনি, লতা মঙ্গেশকর অথবা নুসরাত ফতেহ আলী খান, রোজ ভাবি - আইপডের 
গানগুলো বদলাতে হবে, করা আর হয়ে ওঠে না। রোজ একপথে একই জায়গায়  পায়ের ছাপ রেখে যাই। রোজ এক জায়গায় একই পথচলতি মানুষের সাথে দেখা হয়ে যায়, হেসে ফেলি। 
উড়ে যায় পুরো সপ্তাহটা এইভাবে। আর এইরকম বৃষ্টিবন্দী দিনে সারা সপ্তাহ গলায় চেপে রাখা ক্কান্নাটুকু বেরিয়ে আসতে চায় । ঈশ্বরের সাথে এমন কোন বন্ধুতা নেই যে, 
তাকে ডাকবো প্রাণভরে। তবু মাঝে মাঝে তার সাথেও বন্ধুতা করতে ইচ্ছে করে । 
ভাবি, বলি, 

"
এতকাল নদীকূলে 
যাহা লয়ে ছিনু ভুলে 
সকলি দিলাম তুলে 
থরে বিথরে--- 
এখন আমারে লহো করুণা ক'রে ॥

প্রতি সন্ধ্যায় একবার করে আবিষ্কার করি। আমি এখনও কারো কাছেই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠতে পারলাম না। 


নিয়ম বলে, এই আবিষ্কার আমারে কষ্ট দেবে,আমার মন খারাপ হবে, গান শুনতে শুনতে বালিশ ভিজবে। কি অদ্ভুত, কিচ্ছুই হয় না, আমি স্ট্যাটাস লিখতে বসি। 



তবে এখনও কোন এক কারণে ঘুমাতে পারি না, টবে নয়নতারা নাই,রাস্তার ল্যাম্পোস্ট গুলো আগের মতই রয়ে গেছে। জড় পদার্থের এই সুবিধা, তাঁদের বদলাতে হয় না। বদলে যাওয়া এক বিচ্ছিরী প্রক্রিয়া ।গাছটা মারা গেছে অনেক দিন হল।নতুন একটা নয়নতারা কিনব কিনব করে আর কিনা হল 
না। আমি তো চলেই যাব, নয়নতারা'রা একলা একলা করবে কি সারারাত আকাশের নিচে ? 



কত লাল,নীল কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকি। কালো মেঘ দেখে আর্তনাদ লুকাতে চাই মেঘের ভাজে। তেমন কোন লাভ হয় না,মেঘ নিষ্ঠুরের মতই বৃষ্টি হয়ে মাটিতে লুটাতে থাকে। 



পৌনঃপুনিকতার তালিকায় অনেকদিন আগে নাম লিখিয়ে ফেলা জীবনের এই ছোট্ট ঠিকানায় তাও আকাশ ছিলো, ছিলো জানলা খুলে দিলে ওপারে দাড়িয়ে থাকা কয়েকটা অচিন বৃক্ষ। 
আমার এই বসার জায়গাটুকুর পেছনে তাকালে দেখতাম কখনো আকাশ নীল, কখনো কালো। 
কখনো আকাশের মন ভালো, কখনো কটমটে রাগ করা মা মেঘেরা বাচ্চা মেঘেদের নিয়ে উড়ে যেতো ওই অচিন বৃক্ষের ওপর দিয়ে। পাখি। টিয়া। ঝাঁকে ঝাঁকে, সন্ধ্যায় ওদের ডানা ঝাপটানি ওই অচিন বৃক্ষের পাতায়- ডালে। 
সব হারিয়ে যাবে, খুব তাড়াতাড়ি হলে কাল, অথবা সামনের সপ্তায়। বাড়ছে কনক্রিটের কাঠামো, হয়ে গেছে একতলা। আমার বিদ্যালয় বানাচ্ছে নতুন ভবন, যেনো ফুঁড়ে উঠছে অশ্লীলভাবে। একেবারে আমার জানলা ঘেঁষে। পুরনো কিছু ভবন ভেঙে ফেলা হবে, তার প্রস্তুতি হিসেবে এখানে গড়ে উঠছে নতুন। 
আমাদের আকাশকে বিসর্জন দেবার বিনিময়ে প্রতিষ্ঠান দেবে চকচকে নতুন ল্যাব, শ্রেনীকক্ষ এমনকি একতলায় কনভেনিয়েন্স স্টোর। বেচবে প্যাকেট লাঞ্চ থেকে শুরু করে স্লিপিং পিল। 
আমি জানলা দিয়ে তাকালে আর আকাশ আমায় ডাকবে না। মায়াভরা বৃষ্টিমাখা আকাশ অথবা দুধ-সাদা মেঘ মাখানো আকাশ। দেখবো সেখানে কনক্রিটের কালো অথবা ধূসর দেয়াল। অথবাএয়ারকুলারের বেড়ে যাওয়া বাইরে থাকা অংশ। 
স্ট্রেসময় জীবনের বন্ধু এই ছোট্ট আকাশটুকু, তোমার সাথে বিদায়ের এই বেলায় নাগরিক মানুষ হবার দায় ও দুঃখে আমি বিব্রত। অসহায়।

আমি জানিনা, আমার জানা নেই  কতটুকু সময় পার হলেঅপেক্ষা খুব ভারী মনে হয়। দুচোখের পাতায় নেমে আসে ভোরের শিশির। ভালোলাগা,ভালোবাসা শব্দগুলোর কাছাকাছি যতগুলো আপন শব্দাবলী তোমাকে দেবার কথা ছিলো , সবগুলো জমিয়ে রাখি। কে জানে যদি আর না আসো, যদি জীবনের একটু দেখা হওয়া আলো হয়ে জুড়ে থাকে মনের আকাশ। যদি তুমি আমার আকাশ সীমায় মেঘ হয়ে আসো, খুব বৃষ্টি হয়ে ঝরো একদিন। আমি না হয় সেই বৃষ্টিতে ভিজে হবো স্নিগ্ধ সকাল। বৈশাখের দিন গুলোতে যখন শুনশান দুপুরগুলো দীর্ঘ হতে থাকে কেবলি ধূসর হতে থাকি। তোমার বাড়ীর ছাদ থেকে আমার আঙিনা । এক্কা দোক্কা খেলা। বাতাবী লেবুর গাছটার ছায়ায়। দুপুরের আকাশ দেখার ফাঁকে কখনো? চোখ কি আমাতে ছিলো? কে জানে বাতাবী লেবুর গন্ধ মেখে কখনো কি আমি ও তোমার দিকে? এই বৈশাখে তোমাকে যদি কাছে পাই। খুব কাছে পাই একদিন মনে ভাবি। এখনো সেই গন্ধময়্তা জুড়ে থাকে। শুধু অস্পষ্ট তোমার চোখ দেখা হলো না কোনদিন। এভাবে পিছন ফিরে থাকো যদি আকাশের দীর্ঘ মেঘের পথ হয়ে।কখনো পাওয়া হবেনা সেই তারাকে যার খুব কাছে বসবাস ছিলো একদিন। বৈশাখ এলে এইকথাটা ভাবনার ঘুঘু হয়ে ডাকতে থাকে সকাল দুপুর রাত।।
Share
Tweet
Pin
Share
No comments
হঠাৎ দমকা হাওয়া –  বুঝতে না বুঝতে ভিজে গেল পর্দা, ফুলদানির ফুল।  কই , তুমি তো কখনও আমাকে ভেজাতে হঠাৎ চমকে দাও না।  আমি কিন্তু অপেক্ষা করি ৷   ১.

শ্রাবণের ঘনঘোরl ঝমঝম বৃষ্টি হয়ে গেছে ভরসন্ধেয়l কোচিং ক্লাসের ঝাঁপে লাঠিl টুকটুক করে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির গলির সামনেl পিংকাদের উঠোনে গোড়ালি-ডুব জলl পাড়া-জোড়া পাওয়ার কাটl ঝড়ে নাকি ডাল পড়েছে ইলেকট্রিক তারেl ঝড় না ছাই! মফঃস্বলে জোরে হাওয়া বইলেই গাছটাছ নুয়ে পড়েl গাছ আছে তাই নুয়ে পড়েl কোকো বাগানে কোকিল আসে, বাতাবি বাগানে বুলবুলিl দুচারটে ময়না-টিয়া, আর অনেক অনেক ডাহুক, ঝিলের ধারে ঝাঁক বেঁধে ঘোরেl অন্ধকারের মধ্যে গলির ভেতর ঢুকতেই মাথার ওপর দিয়ে ঝপ করে একটা মস্ত কেঠো ব্যাঙ পিংকাদের জানলা থেকে উঠোনের জলেl তারপরেও কত্তদিন বিশ্বাস করেছি এইভাবে একেকজন, চুপিচুপি ব্যাঙ থেকে রাজকুমার হয়ে যায়।
২.
কালীপুজো-ভাইফোঁটা শেষl ছুটি ফুরিয়েছেl স্কুল খুলেছে সবেl ক্লাব কর্তৃপক্ষও একে একে খুলে নিয়ে গেছে সব প্যান্ডেলের আলোটালোl বেলা ছোট, বিকেলগুলো অনাদরে মলিন, ফিকেl লোডশেডিং চলছে গত কয়েকদিনl দু’একটা বাড়িতে জেনারেটর এসেছে মাত্রl সে আলো পর্দা ভেদ করে গোটা কলোনির অন্ধকার কাটাতে পারে নাl ফলত মন খারাপ লাগেl মন খারাপ মন খারাপl অবিন্যস্ত খাতার শেষ পৃষ্ঠায় হিজিবিজি কৈশোরl একটা জাহাজ, একটা ফড়িং আর একটা মোহাব্বতের ম্যাপেল পাতাl আচমকা নিঃশব্দ ভেঙে একটা মোটরবাইক ক্যাঁ-চ শব্দে থামেl জোরালো আলো এসে পড়ে আবছায়ায়l ম্যাপেলের স্কেচে হলুদ রং ধরে।

৩.
শীতকাতুরেদের আর কী বা পৌষ কী বা মাঘl সকলই বাঘের গায়েl চটজলদি রাতের খাওয়া সারাl এবার আলিফ লায়লা দেখে কম্বলগামী হলেই হয়l কিন্তু ঠিক সাড়ে সাত মিনিট আগে ঝপ করে লোডশেডিংl জঘন্যl আজ আবে-জমজম ছুঁড়ে মারার কথা ছিল চিমা মস্তকে হুল হুলের গায়েl সে অবিশ্যি কাল দেখলেই বা কীl জল ছোঁড়া আর দৈত্যের মরে যাওয়ার মাঝে তো তিন-চার দিনের ব্যবধান থাকবেইl অতএব বাড়তি আধ ঘন্টা পাওয়া গেলোl দিদুন গল্প বলবেl রাপুনজেল রাপুনজেল সোনালি চুল বাইরে ফ্যালl আচ্ছা রাপুনজেল আর ডাইনিবুড়ি যদি একই মানুষ হত তবে রাজপুত্র কী করত? দুশোবার সুড়সুড়ির কন্ট্র্যাক্টে ছিয়াশির মাথায়, অন্ধকার বুকে, ঘুম এসে যায়।
৪.
নতুন ক্লাসের পড়া দস্তুরমতো শুরু হওয়ার আগেই গরমের ছুটি পড়ে গেলোl রোববারের সমস্ত দুপুর পাওয়ার-কাটl জানলার পর্দা ভিজিয়ে, মেঝেতে ভিজে গামছা পেতেও অস্বস্তি কাটে নাl পিংকা আর ওর ছোটপিসির মেয়ে বিলাই এসেছে বাড়িতেl বিলাইদিদি গান গায়l বিকেলবেলা তো তেমন কিচ্ছু করার নেইl মা, বাবা আর সরকার কাকিমা বিলাইদিদিকে গান গাইতে বলেl ছাদে বসে বিলাইদিদি প্রথমে শুকনো পাতার নুপূর পায়ে গায়l তারপর এমনি বরষা ছিল সেদিনl তখন হুড়মুড়িয়ে হাওয়া বয়l নারকেল পাতা এলোমেলোl ঝড় এসেছে ঝড় এসেছে! আমি শুধানু তোমায় বলো দেখি, কোনওদিন মোরে ভুলিবে কিl কলতলায় জামাকাপড় মেলা আছে বলে মা দ্রুতপায়ে নিচে নেমে যায়l মার চোখের কোণে টলটলে বৃষ্টির ফোঁটা l কেউ দেখতে পায় না l মা তো চশমা পরে, সেই ক্লাস ইলেভেন থেকেই।
Share
Tweet
Pin
Share
No comments
হঠাৎ দমকা হাওয়া –  বুঝতে না বুঝতে ভিজে গেল পর্দা, ফুলদানির ফুল।  কই , তুমি তো কখনও আমাকে ভেজাতে হঠাৎ চমকে দাও না।  আমি কিন্তু অপেক্ষা করি ৷   আকাশ দেখার স্বপ্ন ছিল মেয়েটার
ছোট থেকেই আকাশে পাখি হয়ে ওড়ার
সাধ ছিল তার
মফঃস্বল থেকে শহরে এলো যেদিন
জীবনে প্রথমবার কলেজ ক্যাম্পাসের
সোনালী রোদ গায়ে এসে পড়েছিল
সে বুঝতে পারল আকাশের অনেক কাছাকাছি আছে
কলেজ ক্যান্টিনে একটা ঝাঁকড়া চুলের ছেলে
একদিন এসে বলল, হাই!
সেই থেকে আলাপ।
তারও নাকি স্বপ্ন আকাশ হওয়ার
মুখে রবীন্দ্রনাথ, দিনবদলের গান,
চোখে একরাশ বিপ্লব, সমাজ বদলের স্বপ্ন…
মফঃস্বলের মেয়ের ঘোর কাটে না
সে ভাবল এই বুঝি তার এক আকাশ
এই আকাশেই ডানা মেলে দেয়া যায় নিশ্চিন্তে
উদ্দাম উড়তে পারা যায় যত্রতত্র
একদিন সন্ধেবেলায় ছেলেটি এসে বলল
‘চল তোকে আজ আকাশ দেখাব আমার ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে’
‘তোর ফ্ল্যাটের ছাদের আকাশ বুঝি আমার থেকে আলাদা?’
খিলখিলিয়ে হেসে সানন্দে রাজি হল সে
শহরের সবচেয়ে উঁচু ফ্ল্যাটের ছাদে নিয়ে গেল তাকে
সেখানে ছেলেটির আরও দুজন বন্ধু অপেক্ষা করছে
তারপর সারারাত
মেয়েটি চিত হয়ে শুয়ে আকাশ দেখল
ভোরবেলা যখন তাকে ছাদ থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিল তিনজন
সে শেষ চেষ্টা করেছিল পাখি হওয়ার
একবার উড়ে আকাশ ছোঁয়ার
পারেনি।
তার বদলে পরদিন খবরের কাগজের
প্রথম পাতার খবর হয়ে গেল
আর পরের কয়েকদিন শহর ভেঙে পড়ল রাস্তায়
মিটিং মিছিল পথ অবরোধ লাঠিচার্জ টিয়ার গ্যাস
রাজনীতির কচকচানি, পোশাকের দোষ, চরিত্রের দোষ
সব দেখা হল
তারপর একসময়
খবরের পাতা জুড়ে এলো আইপিএল
পুজো পার্বণ ইদ মহরম সান্তাক্লজ ভোট ভাষণ
ফেসবুক জুড়ে সেলফি, নতুন পোশাকের বাহারী লাইক!
দামিনী, নির্ভয়া নাকি অন্য কেউ?
কি নাম ছিল তাঁর?
মনে নেই!
আইনের দরজায় দরজায় ঘুরে ক্লান্ত মেয়েটির বাবা
একদিন সেই ছাদ থেকে উড়িয়ে দিল
ধুলো পড়ে যাওয়া সমস্ত খবরের কাগজ
আর লজ্জাহীন এক শহর দেখল
বেঁচে থাকতে যে মেয়েটা পাখি হয়ে আকাশে উড়তে পারেনি
আজ আশ্চর্যরকম খবর হয়ে উড়ছে ভীষণ ভাবে…
Share
Tweet
Pin
Share
No comments
গুগুল ড্রাইভ থেকে খুঁজে পাওয়া আমার প্রিয় সেই হারিয়ে যাওয়া লিচু গাছ

সরীসৃপ আমি অপছন্দ করি। ছোটবেলার একটা স্মৃতি এখনো আমাকে ভয়ানুভূতিতে আন্দোলিত করে ।

আমি আমাদের লিচু গাছটার নীচে একটা জলচৌকিতে শুয়ে আছি, পাশে তিনি।
একটা সাপ উপর থেকে আমাদের জলচৌকিতে প্রায় আমার গায়ে এসে পড়ে, কিছুক্ষণ পর তাঁর কোলে নিজেকে আবিষ্কার করি।
সাপটাকে পরে মারা হয়।

তিন-চার বছর বয়সের স্মৃতি কারও মনে থাকে?
কেন যেন আমার মনে আছে।
সেবার আমার ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ার অসুখ হয়েছিল। তিন অথবা চার তখন। বাড়িতে দিদি পাড়ার ছেলে মমেয়েদের পড়াতো, তাঁর কাছে আমিও বসে যেতাম পড়তে।
অক্ষরজ্ঞান রপ্ত হয়নি তখনো।

বাচ্চার মেনিনজাইটিস - ডাক্তার বলে। তিনি চাকুরিতে লম্বা ছুটি নিয়ে আমাকে কোলে নিয়ে বসে থাকেন লিচু গাছটার নীচে।
একগাদা ইনজেকশন, সন্ধ্যাবেলায় দিতে আসতো এক ডাক্তার।

সন্ধ্যাবেলা, অন্ধকারটা যখন একটু জড়িয়ে আসে, লিচু গাছটার ওপাশে খড়ের গাদাগুলোকে আবছা অন্ধকারে ভৌতিক কোন মূর্তির মতো মনে হয়, কুকুরে কামড়ে দেয়া আম গাছটার ওপারের ধুলো ওড়ানো রাস্তাটা ধরে হাটে যাওয়া মানুষগুলো ফিরতে শুরু করে যখন - সেই সময়ে।
বাবার কোলে বসে আমি, ধমনী খুঁজে না পেয়ে ডাক্তার ব্যাটা নাকানি-চুবানি খায়।

লিচু গাছটা এখনো আছে, চাঁপা গাছটার পাশে, ওপাড়ার বামুনদের শশ্মানটার ঠিক সামনে।
সেই গাছটা দেখলে আমি এখনো ভয় পাই। সরীসৃপের স্মৃতি মনে পড়ে আমার।


শহর বললেও সে এক মফস্বল - করতোয়া নদী আর একটা ছোট ব্রীজ, চিরে ফেলেছে মফস্বল শহরটাকে - মায়ের আঙুল ধরে ছোট আমি হাঁটি,  শীতে জনকের কোলে চড়ে হিমালয় দেখার চেষ্টা করে।
দুপুরে বাড়িতে খেতে আসা গুরুগম্ভীর বাবার পাশে গুটিসুটি মেরে অপ্রিয় দুপুরি-ঘুম দিয়ে দেয় এক প্রস্থ। বাবাটা যেন কেমন, বাইরে কতো মজা, দুপুরে না ঘুমুলেই হয়না?

-----------------------

তারপরের গল্প যেরকম হয়, সেরকমই।
আমি, আমি বড় হয়ে যাই অন্য সবার মতো। জীবনের প্রয়োজনে বাড়ি ছাড়ি, মফস্বল ছাড়ি।
বছরে এক-আধবার যাই বাড়িতে।

প্রতিবছরই বাবাকে দেখি - অনুভব করি - বুড়ো হয়ে গেছেন আগের বারের থেকে আরেকটু ।
গুরুগম্ভীর বাবা, যাকে আমার বন্ধুরাও ভীষণ ভয় পেতো, আমরা ভাই-বোনেরা পড়াশুনো না করে টিভি দেখতাম বলে যিনি এক আছড়ে ভেঙে ফেলেছিলেন যন্ত্রবাক্সটা - নিজের জন্যে অনুভব করি তাঁর আকুলতা।

ফোনে মায়ের কন্ঠ শুনি - কবে আসবি?
রেগেমেগে উল্টোপাল্টা বলি - সামারে ইন্টার্ন করবো, হ্যান করবো - সময় নাই আসার ।
এপারে বৃষ্টি ঢাকি, "মা, আসতে তো চাই সবসময় - কতো শেকল" ।

মা, জানো, আমি এখনো সরীসৃপের স্বপ্ন দেখি, ঘেমে উঠে ঘর ঠান্ডা করতে সুইচ টিপি।
পঞ্চগড়ে আমরা যখন থাকতাম, তখন প্রচন্ড ভূমিকম্পে কোন এক ভোরে তুমি পাঁচ-ছয়বছরের একটা ভারী বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বাড়ির বাইরে ছুটে গিয়েছিলে, মনে পড়ে?
আমার মনে পড়ে।
এখন যে মাঝেমধ্যেই ভূমিকম্প হয় মাঝরাতে।

বহুদিন ইচ্ছে করে, জিজ্ঞেস করি - মা,এই অক্ষম সন্তানকে নিয়ে কোন স্বপ্ন করেছিলে কি রচন?
করা হয়না, করতে পারিনা।
মায়ের সাথে দূরত্ব অনেক এখন।
কয়েক হাজার কিলোমিটার অথবা কয়েকটা দেয়াল।

দূরত্ব অথবা সে দেয়াল অতিক্রমের সাধ্য আমার নেই।

Share
Tweet
Pin
Share
No comments

Movie Review: "Source Code"

MICHELLE MONAGHAN and JAKE GYLLENHALL star in Source Code

“Source Code”
Directed by Duncan Jones
Summit Entertainment
paw_t820.pngpaw_t820.pngpaw_t820.pngpaw_t820.pnghalfpaw_t820.png

There are many draws to “Source Code,” such as a rugged-looking Jake Gyllenhaal, up-and-coming sci-fi director Duncan Jones and the promise of an intelligent action film. Regardless of the reason, this film has plenty to offer.
Gyllenhaal plays Colter Stevens, a captain and helicopter pilot in the U.S. Air Force who finds himself on a train to Chicago with no memory of how he got there.
One of Stevens’ officers explains to him that, through a complex set of machinery, Stevens is able to inhabit the body of Sean, a passenger aboard a train ““ but only for the last eight minutes of Sean’s life before a bomb goes off and destroys it. Stevens must use what precious time he is given to find out who is responsible for planting the bomb and where this bomber plans to strike again.
However, things get complicated, as Stevens slowly falls in love with Sean’s romantic interest, Christina (Michelle Monaghan).
Stevens starts to believe that he can save the passengers on the train. However, his superiors tell him that what he is witnessing each time he enters “the source code” has already occurred, and the outcome cannot be changed.
As the film opens, Stevens is frustrated as he struggles to remember how he got onto the train and figure out why others think he is someone else. Even if the audience knows what’s going on, viewers are put in Stevens’ mindset.
As he discovers the complexities and particulars of his situation, so too do the viewers.
The film throws the viewer in the midst of the plot, explaining the details and revealing clues over the course of the film. This technique is reminiscent of other recent action films such as “Inception,” and it works just as well here.



     style="display:block"
     data-ad-client="ca-pub-2221917604703020"
     data-ad-slot="3297108884"
     data-ad-format="auto">

Much of the technical particulars of the “source code” are explained away early on as “quantum mechanics and parabolic algebra.” While this might sound like the creators are avoiding giving a real explanation, it proves effective in terms of only giving the viewer, and Stevens, what they absolutely need to know.
For the most part, the film follows the rules it has set up in the world that it’s developed. In this world, the creators offer plenty of room for great moments.
In one scene, for example, Stevens knows he has only a few more minutes to live, and so he uses any means necessary, punching a man in the face, to find the bomber.
The only poorly executed part of the film is the post-climax resolution, which drags on a bit longer than necessary, feeling forced at times. While the final message that this resolution delivers has pretty large consequences for the world that the movie has crafted, it really doesn’t have much to deliver to viewers unless they’re really willing to dig deep to find a message.

What we have here, setting aside the fancy editing involving the time travel, is something that looks like hard science fiction. That's a threatened genre. Movies with plots are threatened in general; much modern "science fiction" involves blowing stuff up. The good classic sci-fi involved starting with an idea and exploring its implications.

7.5/10 IMDb92% Rotten Tomatoes


Share
Tweet
Pin
Share
No comments
১
শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে উঠে জানলার কাছে বসে বসে মানুষের মুখের নানা রেখা দেখে,বোঝার চেষ্টা করি তাদের জীবনের গভীরতা,সরলতা অথবা অনেক অনেক জটিল তারের মধ্যে জমে থাকা একটা টুনি আলোর মতো সুখ।অনেকগুলো মুখ হটাত আচমকা চলে যাওয়ার পর নিজেদের ফেলে যাওয়াটুকু নিয়ে একটা গল্প তৈরি করে আমার মনের বারান্দায়।সেখানে দু মুহূর্ত বসি।যত চলে আসি বাড়ির দিকে ট্রেনের পাশের দিকে বয়ে চলা রাস্তায় কিছু এমন মানুষ দেখি,যাদের খুব সুখী মনে হয়।শুধু সেই মুহূর্তেই।কোনও প্রিয় ছোট বইয়ের দোকানের পরিচিত মুখ নেমে যায় নির্দিষ্ট স্টেশনে।আমি তাকে দেখি তবে নিজেকে হয়ত দেখাতে চাই না।এরকম নিজের অনেক না দেখাতে চাওয়া জমে থাকে সারাদিন।আজ,আজই ঢাকুরিয়া লেকে দেখলাম কত প্রেম,কত প্রেম।চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে সে সব প্রেমে,মনটা বলছে চারিদিকে সত্যি কি ভয়ানক প্রেম-হীনতা।উদযাপনটা আরো বেশি করে কঙ্কালটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে যায়।তাদের কারো কারো ফোনে বেজে ওঠে যে কোনও নিস্তব্ধতা-বিনাশী গান।নির্দিষ্ট স্টেশনের আগের স্টেশনে নামি।অন্য কোনও পথ ধরি বাড়ি ফেরার।একটু নিরিবিলির পথ,একটু আড়াল।ভাবি আদতে কার কাছে ফিরে আসি,সত্যি বারবার?নিজের কাছে?মায়ের কাছে?নাকি নিজের আড়ালের কাছে?কি জানি আজকাল নিজেকে সুন্দর করে আড়াল করতে পারি হয়ত।তারপর সে সমস্ত আড়াল থেকে অনেক শব্দ জন্ম নেয়,আমার পাশে হাঁটে,হাত ধরে…
ফিরতে ফিরতে দেখি পাড়ায় পাড়ায় রবীন্দ্র ঠাকুর পুজো হয়।বুঝি আমার এখনো একটা আড়াল আছে…ভাগ্যিস…

২
কাল রাতে জীবনানন্দ এসেছিলেন, মুখোমুখি বসেছিলেন অন্ধকারে। বলেছিলাম,খুব শক্ত করেই যে শিখেছি এমন নয়, তবু মনে হয় মায়ের ঐ কথা যে, কেউ ঘরে না থাকলে পাখা বন্ধ করে দে, এই কথাটুকুই শিখিয়ে দিয়েছে অনেক কিছু।সকাল বেলা উঠে মাঝে মাঝে পুরনো ইশকুলের সামনে চলে যাই। দুপুরে ছাদের কোনও একটা ছোট্ট কোনায় বসে ভাবি ঐ যে দূরের ছাদটা,বহুদিন কথা হয় না।কেমন আছো, এই রোদ্দুরে।ছাদের তো মাথার উপর আর ছাদ নেই।আজকাল খুব ইচ্ছে করে কোথাও একটা চুপ করে বসে থাকি,আকাশের দিকে তাকিয়ে।কতদিন ঘাড় উঁচু করে আর আকাশটাকেই দেখি না। মনে হয় আজ রাতে যদি আর বাড়ি না ফিরি।এই আমার দু পয়সার জীবন, টেলিফোনে পয়সা নেই ফোন করার তবু একটা খাতার দোকান দেখলে নতুন একটা খাতা কিনে ফেলি।মা বলে,আবার একটা নতুন খাতা? আমি ভাবি,এইটুকুই তো বিলাস।বিলাস,বিলাস,বিলাস।আমারও বিলাস আছে বইকি।বিলাস কি সবসময় অর্থগত হতে হবে?মানসিক?তামসিক?তারপর একটা কেউটের মতো রাত্রি আসে।আমি অনেক পুরনো মুখ খুঁজি আজকাল, অথবা একটি নতুন মুখে প্রাচীন সুখ।বাসায় ফেরে আমার মধ্যে জেগে থাকা ‘মা’।মৃত্যুর কথা ভাবি,জীবনের কথা ভাবি,তারপর ভাবি এসব শ্যাওলা মাখা শরীর নিয়ে কতদিন পাল্লা দেবো? ভাবি কতদিন সিঁড়ির ঘরে লুকিয়ে রাখবো ভালোবাসার বোধগুলোকে,বলবো বৃষ্টি,চল একবার সস্তা পালিয়ে যাই।জামাকাপড় বিশেষ লাগবে না খালি কতগুলো বই যদি সঙ্গে নিতিস…। ভালবেসে কি পাবো?অভিযোগ?শরীর?আমি তো সেসব চাই নি কোনদিনও।একটা ছাদ-মানুষ,তারা,বোধ,চোখের জলে ভিজিয়ে দেওয়া ক্ষত,বোবা আদর।কাল রাতে জীবনানন্দ এসেছিলেন,বলছিলাম-আমি একটা কাগুজে বাঘ সেজে হেঁটে চলেছি শব্দের উপর দিয়ে মহাকালের পথে, বলছিলাম-আমার ঘুমের মধ্যে মরে যেতে ভয় লাগে,একা।

Share
Tweet
Pin
Share
No comments
Newer Posts
Older Posts

About me


About Amalie

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Praesent non leo vestibulum, condimentum elit non, venenatis eros.

Follow Us

Labels

Amazing Facts Books Humanity the guardian Travel আমার একলা থাকার সঙ্গী কথাকাব্য কবিতারা নন্দিনীকে বর্ষার কবিতাগুচ্ছ নন্দিনীকে শীতের কবিতাগুচ্ছ নস্টালজিক মন নীলপরীর গল্পেরা প্রিয় মুভি এবং রিভিউ

recent posts

FOLLOW ME @forbestime

Blog Archive

  • ▼  2017 (150)
    • ►  December (35)
    • ►  November (27)
    • ►  October (19)
    • ►  September (4)
    • ▼  August (15)
      • তুই কবে আসবি রংপেন্সিল বিকেল নিয়ে
      • তবু ছুয়ে দেখি বৃষ্টি…
      • বাতাবি লেবুর গন্ধে
      • সেসব লোডশেডিং
      • আকাশে ওড়ার স্বপ্ন ছিল যে মেয়েটার
      • ফিরতেই তো চাই
      • Source Code
      • আমাদের এক্কাদোক্কা জীবন
      • আলো মেখে ভালো থাক তুই
      • তোর কথা ভাবলেই
      • স্বপ্ন, তুমি এসেছিলে কি?
      • দিগন্তের সঙ্গে আজো দেখা হলনা প্রিয়
      • নিয়ম ভাঙ্গার নিয়ম
      • আমার শহরে প্রিয় বারান্দা নেই
      • শুভ্রতার দিগন্ত মাড়িয়ে একদিন তুমি এসো
    • ►  July (11)
    • ►  June (8)
    • ►  May (31)
  • ►  2016 (25)
    • ►  December (2)
    • ►  March (23)

Created with by BeautyTemplates