কেমন আছো তুমি আমার লেখার ঘর, কেমন আছ তুমি পুকুর, খোলা মাঠ, ফিরবই।
পরবাসে ভালো নেই। আমি ভালো নেই। তোদের ছাড়া যে ভালো থাকা যায় না। তোদের ছাড়া কিভাবে ভালো থাকতে হয় একটু শিখিয়ে দিবি!
আমার লেখার ঘর আজ ধুলোয় ভর্তি। স্বপ্নেরা যে যার নিজের মত হেঁটে যাচ্ছে ট্র্যাকে। সবাই ফিরে যাচ্ছে নিজের মত করে, শুধু আমারই আর ফেরা হয় না। আমার যে আজও ফিরে যেতে ইচ্ছে করে তালদিঘীটির কাছে; ওর জলের রঙ কেমন আমার জানা নেই; মাছেরা কি আর আগের মত ঘুরে বেড়ায়?
ঝাপসা কুয়াষায় ট্রাফিক লাইনের ওইপারে আজও কি তুই খুঁজে বেড়াস ডি-অ্যাক্টিভেটেড ভালোবাসা? তোর বৃষ্টি’রা কি আজও পথ হারিয়ে রং-রুটে হেঁটে বেড়ায়?
বকুল, তুই বল, ত্রিকোনামিতির কস থিটা বাই ট্যান থিটা শিখে কে কবে ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছে! স্কুলের মাঠে তুই যে দীর্ঘ্যশ্বাস ফেলে এসেছিলি, আজ সেখানে থোকায় থোকায় জোনাকি পোকা ঘুরে বেড়ায় মাঝরাতে; মাঝে মাঝে পথ ভুল করে দু-একটা জোনাকি চলে আসে আমার খোলা জানালায়।
সব কথা বলতে নেই; সবকথা বুঝতেও নেই; “ভালোবাসি” এইটুকুন একটা শব্দ; একবার জেনে গেলে আর বলার থাকে না কিছুই। বয়স কম হল না সময়ের। নিভু নিভু টাইমলাইন ঘিরে অ্যাক্টিভেটেড বিষাদ, চৈত্রের বিকেলের রোদ মুখে ঝলসানি মারে; সাদা মোজা, হাঁটুর উপর থমকে আছে সাদা স্কার্ট; তোর আঠারো বছর বয়সটা ওখানেই লেগে আছে। আমার মানিয়ে নেওয়া অবসরে বেমানান তুই লিখেছিলি “তুই পাগল করতে পারিস এখনও।” আমার সময় এখনও ওখানেই থমকে আছে।
জানিস বকুল, একটা আকাশ লিখতে পারিনি বলে মেঘেরা সব ছেড়ে চলে গেছে; কিছু ভালোবাসার দামে কেনা ছিল স্বপ্ন আমার, অথবা স্বপ্নের দামে ভালোবাসা আমার জানা নেই; শুধু শুয়োপোকা থেকে প্রজাপতি আর রাজহাঁসের শৈশবই কেবল জানে কতটা সত্যি ছিল রূপকথা। সোনার জলে মোড়ানো রূপালি আয়নায় হারানো মনের ছায়ায় চোখ পড়তেই মনে পড়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় চুপকথা, মানুষ মাত্রেই ভুল।
জানিস বকুল, পাখির শিসের বাঁকে বাঁকে যারা জীবনটাকে মিশিয়ে দেয় তাদের কোনো ঘর থাকেনা; তাদের ঠিকানায় কোনোদিন কেউই চিঠিও পাঠায় না। আমার ঘরটা আজোও মাঝরাতে একা একা কেঁদে উঠে, আমি জানি না আমার ঘরের কান্নার কারন। সন্ধ্যে হলে আমি আজও হাঁটতে থাকি; সে কি আমার ঘরে ফেরার চেষ্টা?
প্রতি রাতে টের পাই কারোর নির্লিপ্ততায় ক্ষয়ে যাচ্ছে কিছু, মোমবাতি জ্বেলে বসে থাকি, বুঝতে পারি পাশে কেউ নেই; শুধু আমি আর ছায়া আর...সেই কান্নাটা।
জানিস বকুল, একদিন দৌড়তে দৌড়তে হঠাৎ খুব করে বুঝতে পারি বড় হয়ে গেছি; হঠাৎ করে বড় হয়ে গেলাম যখন বাড়ির বড়রা ঘুমে অথবা গল্পে মশগুল; হঠাৎ করে খুঁজে পাওয়া রংধনুটা হঠাৎ করেই যেন হারিয়ে গেল, ফিরে গেল বৃষ্টিরা কাউকে কিছুই না বলে। আজ খুব ইচ্ছে করে সেই বোকা ছেলেটাকে ফিরে পেতে, সেই বোকা ছেলেটাকে নিয়ে লিখতে; একটা বোকা ছেলের নুতন করে বেঁচে ওঠার গল্প অথবা স্বপ্ন ভঙ্গের গল্প।
আমি চোখ বুজে ভাবতে থাকি একটা মাঠের কথা, একদল দেবদারুর গাছের কথা; সেই গাছের ছায়ার ভাঁজে ভাঁজে আজও তুই লেগে আছিস; এক আনমনা সিঁদুর রঙের রোদ্দুর ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে তোকে; রং-পেনসিল নিয়ে এঁকে যাচ্ছে তোকে।
আমার খুব হিংসে লাগে, বড় ইচ্ছে ছিল ওই মুখ আঁকব, অপরূপ ভ্রুজোড়া আঁকব; ওই চোখ... এই জনমে আর পারা গেল না। তাই শেয়ালের মত পিপাসা আর তৃষ্ণা নিয়ে তাকিয়ে থাকি ওই চোখের দিকে। জানিস বকুল, যদি জন্মান্তরবাদ কথাটা সত্যি হয় তবে পরজন্মে আবার রংতুলি নিয়ে বসব। এক বিকেলে তোর হাতে ঢেলে দেব আমার অবসন্ন ফুসফুস; তোর নখে, আঙ্গুলে কপাল ছাড়িয়ে ছড়িয়ে মাখিয়ে দেব আমার বিকেল।
পরবাসে ভালো নেই। আমি ভালো নেই। তোদের ছাড়া যে ভালো থাকা যায় না। তোদের ছাড়া কিভাবে ভালো থাকতে হয় একটু শিখিয়ে দিবি!
আমার লেখার ঘর আজ ধুলোয় ভর্তি। স্বপ্নেরা যে যার নিজের মত হেঁটে যাচ্ছে ট্র্যাকে। সবাই ফিরে যাচ্ছে নিজের মত করে, শুধু আমারই আর ফেরা হয় না। আমার যে আজও ফিরে যেতে ইচ্ছে করে তালদিঘীটির কাছে; ওর জলের রঙ কেমন আমার জানা নেই; মাছেরা কি আর আগের মত ঘুরে বেড়ায়?
ঝাপসা কুয়াষায় ট্রাফিক লাইনের ওইপারে আজও কি তুই খুঁজে বেড়াস ডি-অ্যাক্টিভেটেড ভালোবাসা? তোর বৃষ্টি’রা কি আজও পথ হারিয়ে রং-রুটে হেঁটে বেড়ায়?
বকুল, তুই বল, ত্রিকোনামিতির কস থিটা বাই ট্যান থিটা শিখে কে কবে ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছে! স্কুলের মাঠে তুই যে দীর্ঘ্যশ্বাস ফেলে এসেছিলি, আজ সেখানে থোকায় থোকায় জোনাকি পোকা ঘুরে বেড়ায় মাঝরাতে; মাঝে মাঝে পথ ভুল করে দু-একটা জোনাকি চলে আসে আমার খোলা জানালায়।
সব কথা বলতে নেই; সবকথা বুঝতেও নেই; “ভালোবাসি” এইটুকুন একটা শব্দ; একবার জেনে গেলে আর বলার থাকে না কিছুই। বয়স কম হল না সময়ের। নিভু নিভু টাইমলাইন ঘিরে অ্যাক্টিভেটেড বিষাদ, চৈত্রের বিকেলের রোদ মুখে ঝলসানি মারে; সাদা মোজা, হাঁটুর উপর থমকে আছে সাদা স্কার্ট; তোর আঠারো বছর বয়সটা ওখানেই লেগে আছে। আমার মানিয়ে নেওয়া অবসরে বেমানান তুই লিখেছিলি “তুই পাগল করতে পারিস এখনও।” আমার সময় এখনও ওখানেই থমকে আছে।
জানিস বকুল, একটা আকাশ লিখতে পারিনি বলে মেঘেরা সব ছেড়ে চলে গেছে; কিছু ভালোবাসার দামে কেনা ছিল স্বপ্ন আমার, অথবা স্বপ্নের দামে ভালোবাসা আমার জানা নেই; শুধু শুয়োপোকা থেকে প্রজাপতি আর রাজহাঁসের শৈশবই কেবল জানে কতটা সত্যি ছিল রূপকথা। সোনার জলে মোড়ানো রূপালি আয়নায় হারানো মনের ছায়ায় চোখ পড়তেই মনে পড়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় চুপকথা, মানুষ মাত্রেই ভুল।
জানিস বকুল, পাখির শিসের বাঁকে বাঁকে যারা জীবনটাকে মিশিয়ে দেয় তাদের কোনো ঘর থাকেনা; তাদের ঠিকানায় কোনোদিন কেউই চিঠিও পাঠায় না। আমার ঘরটা আজোও মাঝরাতে একা একা কেঁদে উঠে, আমি জানি না আমার ঘরের কান্নার কারন। সন্ধ্যে হলে আমি আজও হাঁটতে থাকি; সে কি আমার ঘরে ফেরার চেষ্টা?
প্রতি রাতে টের পাই কারোর নির্লিপ্ততায় ক্ষয়ে যাচ্ছে কিছু, মোমবাতি জ্বেলে বসে থাকি, বুঝতে পারি পাশে কেউ নেই; শুধু আমি আর ছায়া আর...সেই কান্নাটা।
জানিস বকুল, একদিন দৌড়তে দৌড়তে হঠাৎ খুব করে বুঝতে পারি বড় হয়ে গেছি; হঠাৎ করে বড় হয়ে গেলাম যখন বাড়ির বড়রা ঘুমে অথবা গল্পে মশগুল; হঠাৎ করে খুঁজে পাওয়া রংধনুটা হঠাৎ করেই যেন হারিয়ে গেল, ফিরে গেল বৃষ্টিরা কাউকে কিছুই না বলে। আজ খুব ইচ্ছে করে সেই বোকা ছেলেটাকে ফিরে পেতে, সেই বোকা ছেলেটাকে নিয়ে লিখতে; একটা বোকা ছেলের নুতন করে বেঁচে ওঠার গল্প অথবা স্বপ্ন ভঙ্গের গল্প।
আমি চোখ বুজে ভাবতে থাকি একটা মাঠের কথা, একদল দেবদারুর গাছের কথা; সেই গাছের ছায়ার ভাঁজে ভাঁজে আজও তুই লেগে আছিস; এক আনমনা সিঁদুর রঙের রোদ্দুর ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে তোকে; রং-পেনসিল নিয়ে এঁকে যাচ্ছে তোকে।
আমার খুব হিংসে লাগে, বড় ইচ্ছে ছিল ওই মুখ আঁকব, অপরূপ ভ্রুজোড়া আঁকব; ওই চোখ... এই জনমে আর পারা গেল না। তাই শেয়ালের মত পিপাসা আর তৃষ্ণা নিয়ে তাকিয়ে থাকি ওই চোখের দিকে। জানিস বকুল, যদি জন্মান্তরবাদ কথাটা সত্যি হয় তবে পরজন্মে আবার রংতুলি নিয়ে বসব। এক বিকেলে তোর হাতে ঢেলে দেব আমার অবসন্ন ফুসফুস; তোর নখে, আঙ্গুলে কপাল ছাড়িয়ে ছড়িয়ে মাখিয়ে দেব আমার বিকেল।