কোন এক হেমন্তের গল্প
সে এক হেমন্ত আকাশের গল্প। বিমোহ গোধূলিতে যার অমেয় সৌন্দর্য আঁকা হয়েছিলো নবাগত ভোরের এক ফোঁটা শিশিরের স্নিগ্ধতা দিয়ে। সেই গোধূলি ছাপা আকাশের বা পাশটায় একটা চাঁদ জুড়ে গিয়েছিল। আকাশটার নীল ভেঙে ভেঙে চাঁদটা একটা ডাহুক পাখির মত তার ডানাজোড়া মেলে দিয়েছিলো। আমি কবিতা লেখা শিখে গিয়েছিলাম তারপর থেকে। মেঘ বৃষ্টি কিংবা অলস রোদ্দুরের কাছ থেকে ধার নিতে শিখেছিলাম কবিতার ছন্দগুলোকে। আমার কলম ঘেমে গিয়েছিলো সেই কবিতা লিখতে গিয়ে। যেভাবে একটা নাক ঘেমে যায় সহসা লজ্জা পাওয়ার পর।
তারপর অনেকগুলো মুহুর্তের গল্প। জীবন্ত হয়ে উঠে আরো জীবন্ত হওয়া। আমি এইসব যান্ত্রিক দিনের ইনফিরিওরিটি ভুলে যেতাম। চোখেমুখে স্বপ্ন জুড়ে যেতো আমার। আবহ তৈরির জন্য ধার নিতাম
টুকরো মেঘের ফাঁক গলিয়ে বেরিয়ে পড়া জ্যোৎস্নাবেলাকে
হেমন্তের আকাশগুলো সুখী। রং মাখানো বিকেলের গল্পে আমার ডিপ্রেশনের ঘুম কেটে যায়।
0 comments